নিউজ ডেস্কঃ বছর শেষে ধরে রাখা বাঁধে পানি ছেড়ে দেয়ায় আজ ভোর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে মাছ ধরা উৎসব। আর মাছ ধরা উৎসবকে ঘিরে বাঁধের আশপাশ এলাকায় মানুষের ভিড়ে পরিনত হয় মিলন মেলায়। আর সেখানকার উম্মুক্ত জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির নানা রকম মাছ বাঁধের পাশেই পসড়া সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে কম দামে। এতে খুশি দুর-দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
ভেলায় চরে স্থানীয় জেলেরাসহ উৎসুক জনতা জাল ফিকে মাছ ধরছে শুস্ক মৌসুমে ধরে রাখা ঠাকুরগাঁও সদরের বুড়ির বাঁধের পানিতে। অনেকে আবার নেমেছেন ঠেলা জাল, পলো ও মাছ খালুই নিয়ে। উম্মুক্ত জলাশয়ে ভোর থেকেই রুই, কাতল, বোয়াল, মৃগেল, মাগুর, শিংসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছেন। হাজারো লোকের সমাগমে এলাকা জুড়ে মাছ ধরা উৎসবে পরিনত হয়েছে। মাছ শিকারের পর বাঁধের পাশেই রাস্তার উপড় আশপাশ ও দুর-দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা ও হাট-বাজারের পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন কম দামে। বাজারের তুলনায় এখান থেকে কম দামে মাছ কিনতে পেরে খুশি সবাই। আর মাছ উৎসবকে ঘিরে বাঁধ প্রাঙ্গনেই বসেছে মন্ডা মিঠাইয়ের হরেক রকম দোকান।
স্থানীয়রা জানান, এখানে প্রতি বছর জমানো পানি ছেড়ে দেয়ার ফলে মাছ ধরা উৎসবে রুপ নেয়। দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ আসে মাছ শিকার দেখতে ও ক্রয় বিক্রয় করতে। এতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার জানান, তিনটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে বছর শেষে বাঁেধ পানি ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে হাজারো মানুষের ভিড়ে মাছ ধরা উৎসবে রুপ নেয়। আর বিশৃংখলা এড়াতে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
সদর উপজেলার আকচা, চিলারং ও আখানগর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক হেক্টর জমির বিলে শুস্ক মৌসুমে পানি ধরে রেখে কৃষি জমির সেচ সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণ করে বুড়িরবাঁধ নামে সেচ প্রকল্প। প্রতি বছর এ সময়ে ছেড়ে দেয়া হয় আটকানো পানি।