নিউজ ডেস্ক: করোনায় সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় ত্রাণের দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে রিক্সাচালক, দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকরা সমবেত হয় ।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমেবেত হয়ে দাবি করেন করোনাকালীন ও আসন্ন ঈদের সরকারি সাহায্য।
শ্রমিকেরা জানান, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমরা সাধারণত ত্রাণ বা সাহায্য পাই না। তাই তারা ডিসি মহোদয়ের কাছে ত্রানের জন্য এসেছে। টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের ত্রান দিয়ে সহযোগীতা না করলে করোনা রোগ ধরার আগেই না খেয়ে মারা যাবেন বলে জানান তারা।
মালেকা নামের এক নারী বলেন, মুই বাসা বাড়িত কাজ করে সংসার চালাও। করোনা আর লকডাউনের কারণে কেউ মোক কাজত নেন না। মোর পরিবারের সদস্যরা না খায় আছে। ডিসি স্যার চাউল দিলে আজ খাবা পারিমো। শুধু মালেকা নন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাসি বেগম (৪৫), প্রতিবন্ধী আবদুল আজিজ (৬৪), মায়া বেগমসহ (৭৩) তিন শতাধিক খেটে খাওয়া মানুষ ভিড় করেন ত্রাণের আশায়।
সদর উপজেলার কালিতলা গ্রামের রমজান (৬৪) বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন। অন্যের রিকসা ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালায়। কিন্তু লকডাউনের কারনে রাস্তায় বের হলে পুলিশ রিকসার সিট খুলে নেয়। এখন খাবো কি? তাই একটু ত্রাণের আশায় ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। শীবগঞ্জ এলাকার ময়না বেগমের (৭৩) স্বামী নেই। ভাইয়ের ছেলেদের সংসারে থাকেন। লকডাউনে তাঁদের সংসারই চলে না। তাই তাঁকে খাবারের খোঁজে বের হতে হয়েছে। তাদের অভিযোগ সমবেত হয়েও ফিরে যান খালি হাতে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম জানান, জেলা প্রশাসন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোকের প্রতি জনের ৫শ টাকা করে বিশেষ ভিজিএফ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সেটা পেতে নিজ নিজ ভোটার আইডি কার্ড জনপ্রতিনিধির কাছে যোগাযোগ করার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।