নিউজ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিরোধে স্থানীয় প্রশাসন বার বার সতর্ক করলেও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মানা হচ্ছে না এসব নির্দেশনা। সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে খোলামেলা অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়ে নির্মাণ কাজ করাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলায় কাজ করছে। এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন এ কাজে নিয়জিত থাকলেও তা দেখার যেন কেউ নেই।
উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় বুধবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ করতে দেখা গেছে। বহিরাগত নির্মাণ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর ফলে একদিকে যেমন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই এসব নির্মাণ কাজ করাচ্ছেন তিনি। তবে মাত্র ৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন বলে দাবি করলেও প্রায় ২০ জনকে ঢালাই কাজ করতে দেখা গেছে।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। যেখানে জনসমাগম এড়াতে আমরা দিনরাত উপজেলা প্রশাসন কাজ করছি, সেখানে শ্রমিকদের কাজের অনুমতি দিবো, প্রশ্নই আসে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শ্রমিকরা জানান, করোনা ভাইরাসের ঝুকিতে ভয়ভীতি কাজ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের দিয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন। তবে নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্টাফ আবু সুফিয়ান জানালেন, নির্মাণ শ্রমিকরাই নিজে থেকেই কাজ করছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম জানান, ১ মিটার দুরত্ব বজায় রেখে যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সম্ভব হয় না। সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে আছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহাফুজার রহমান জানান, যেখানেই জনসমাগম হবে, সেখানেই ভাইরাসটি ছড়ানোর আশংকা সবচেয়ে বেশি। যেহেতু আমাদের জানা নেই ভাইরাসটি কার মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। গত মার্চ ১৭ তারিখের এটির নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। শুরু হওয়ার পর করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হলেও নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর।