নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে বাণ্যিজের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউএনও’র স্যালকের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না দেয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘর বঞ্চিত অসহায় পরিবারের লোকজন ও উৎসুক জনতা আবুল কালাম আজাদ নামে একজন আটকের পর পুলিশে কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় হরিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গৃহায়ন প্রকল্প এলাকা থেকে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ জানায় সে হরিপুর ইউএনও’র আওতায় সরকারি প্রকল্পের ঘর তৈরির মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব ছিল। সেই সুযোগে ইউএনও’র স্যালক তানবিন হাসান ঘর বরাদ্দের নাম করে আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে ওই এলাকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছে ১লাখ ৬৯ হাজার গ্রহন করে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি সাইদুল ইসলাম ও ভুক্তভুগী ওহাব আলী, এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমরা অসহায় মানুষ আবুল কালাম আজাদ ঘর নির্মানের কাজে দেখভালের দায়িত্বে ছিল। আর ইউএনও’র স্যালক তানবিন প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। আমাদের ৯ জনকে ঘর দেয়ার কথা বললে আমরা ঋণ মহাজন করে তাদের কথামত আবুল কালাম আজাদকে টাকা বুঝে দেই শুধু ঠাই পাওয়ার আশায়। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যেহেতু ইউএনও’র স্যালক টাকা দিতে বলেছে ঘর পাবো। কিন্তু ঘর বরাদ্দের ফাইনাল তালিকায় আমাদের নাম না থাকায়। তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কাল ক্ষেপন করে। পরে আবুল কালাম আজাদকে সবাই আটক করে পুলিশে দেয়। আমরা আমাদের টাকা ফেরতের পাশাপাশি তারা আরো অনেক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দাবি করছি।
হরিপুর উপজেলার ইউএনও আব্দুল করিম জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ওসি এস এম আওরঙ্গ জেব জানান, জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। আর ইউএনও’র স্যালক তাকে ঘর বরাদ্দের জন্য স্থানীয়দের কাছে টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয় বলে স্বীকার করে। মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদকে আসামী করা হয়েছে। আর অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িতের অভিযোগে ইউএনও’র স্যালক তানবিনের নাম সন্দেহজনকভাবে এজাহারের ভিতরে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে সব বেড়িয়ে আসবে।
এর আগে ওই উপজেলার এইক প্রকল্পের বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) ঘর নির্মানের কিছুদিন পর ফাটল ধরে বেশকয়েকটি ঘর। পরে বরাদ্দ পাওয়া বাসিন্দারা ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তুললে পরে তা ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করে দেন ইউএনও।