নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম ধান কর্তন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুখানপুখুরি ইউনিয়নের লাউথুতি ঠেঙ্গামেলি গ্রামের কৃষক মহেন্দ্র নাথ বর্মনের আবাদকৃত ধান আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তন করে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, আর্ন্তজাতিক ধান গবেষনা ইস্টিটিউট এর প্রকল্পের আওতায় ও আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় বিনা ধান ১৭ আগাম জাতের ধান উৎপাদনে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করা হয়। কৃষকের উৎপাদনকৃত এ জাতের ধান ১১০ দিনে আজ কর্তন করা হয়। এক বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয় ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি ধান পাওয়া যায় ১৭-১৮ মন পর্যন্ত। ফলে কৃষকরা ধান উৎপাদনের পর অন্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ পাচ্ছে। আর এ ধান থেকেই ভাল বীজ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তারা। ফলে বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহের ঝামেলাও থাকছে না। পরে ওই গ্রামে কৃষকদের নিয়ে জলবায়ু সহনশীল ধান উৎপাদনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় ও বাংলাদেশ আরডিআরএস এর কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক মহেন্দ্র নাথসহ আশপাশের কয়েকজন কৃষক জানায় আগাম জাতের বিনা ধান ১৭ আবাদ করে আমরা অন্যান্য ধান পাঁকার অনেক আগেই ধান কর্তন করতে পারছি। ফলে অন্যান্য সাক সবজি আবাদের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, আমরা স্বল্প মেয়াদী ধান উৎপাদনে জেলার কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করছি। এতে বাজারে নতুন চাল সরবরাহ হবে। চালের দাম কমবে। এছাড়া কৃষক ধান উৎপাদনের পর বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে পারছে। এছাড়া বীজের জন্যও তাদের চিন্তা করতে হচ্ছে না। এ ধান থেকেই ভাল বীজ পাওয়ায় সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।