নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের ধর্ষন মামলার আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আজ ভোর রাতে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় বলে নিশ্চিত করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মামলার অন্যান্য আসামীরা জামিনে রয়েছে। তবে সাইফুল মামলায় জামিন না নেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর কয়েকদিন আগে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করে জেলা শহরে একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভুগী পরিবার।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলার একজন নিরিহ নির্যাতিতা নারী। নাসিং এর উপড় ডিপ্লোমা শেষ করে প্রায় তিন বছর আগে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার নিউ পপুলার ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নার্সের চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরি শুরু করতে না করতেই ওই ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলাম বিবাহের তত্য গোপন করে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তা বার বার প্রত্যাখান করলেও পরবর্তিতে কৌশলে ক্লিনিকের একটি কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষক করে সাইফুল। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু বছর যাবৎ মেলামেশা করে। পরবর্তিতে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আইগত ব্যবস্থার জন্য পরিবারের ও স্বজনদের পরামর্শ নেয় মেয়েটি। তা জানতে পেরে সাইফুল ও তার স্ত্রী মেয়েটিকে শারিরিক ও পাশবিক নির্যাতন করে ক্লিনিকের বাইরে ফেলে দেয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সুস্থ্য হয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিলে সাইফুল আবারো কৌশল খাটিয়ে গত ৩১ মে ২০২১ইং তারিখে বিবাহের আলোচনার কথা বলে ঠাকুরগাঁও শহরের টিকাপাড়াস্থ তার ভায়রা আলমগীরকে দিয়ে সন্ধ্যায় আমাকে ডেকে নেয়। সেখানেও সাইফুল একটি কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে এবং দুইলাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি বারাবারি করতে নিষেধ করে। তা মানতে অস্বীকার করলে সাইফুল তার ভায়রা আলমগীরসহ পরিবারের লোকজন বেধরক পারপিট করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মেয়েটি বাদি হয়ে ফাইফুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আসামী সাইফুলকে ভোড় রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।