নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে শালিশের নামে মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইউপি সদস্যসহ ৭জনকে আসামী করে জেলার পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের পরিবার। নির্যাতনের ঘটনা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও আসামীদের এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও দেওধা গ্রামের ইউনুস আলীর মোবাইল চুরির হয় গত ২২ মে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দিন ইউনুস আলী প্রতিবেশি ফরজতুল্লাহ ছেলে সুমন (১৩) ও আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল (১৫) কে তার বাসায় ডেকে নেয়। এসময় দুই শিশুর হাত-পা বেঁধে শালিশের নামে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে বেধরক মারধর করে নির্যাতন করে।
এ ঘটনার পর ৫ জুন শিশু সুমনের মা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে মামলা করে। মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় গতকাল সামাজিক মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান জানান, যেহেতু এ ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এখানে আমাদের করণীয় নেই। আইগতভাবে যা করা দরকার প্রশাসন করবেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায় জানান,আসামীকে খুজে পাচ্ছে না। অভিযান অব্যাহত আছে তবে পুলিশ তাকে খুজে না পেলেও মোবাইলে ওই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বলেন, আমি তাদের মারপিট করিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। ঘটনার কিছুদিন পর কেন মামলা হলো তা বুঝতে পারছি না।