নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির মাল পেয়ে খুশি সাধারন ক্রেতারা। ক্রমান্বয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে সপ্তাহে ৬দিন ভোক্তারাদের কাছে সরকার নির্ধারিত মুল্যে খাদ্য সামগ্রি বিক্রি করেন টিসিবির ডিলাররা। তবে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে টিসিবির অফিস না থাকায় জেলার ডিলাররা রংপুর অফিস থেকে মালামাল ক্রয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানান তারা।
ডিলাররা মালামাল ক্রয়ের পর প্যাকেজ সিস্টেমে ২ কেজি তেল, ১ কেজি সোলা, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি মুসুর ডাল ভোক্তারের কাছে বিক্রি করছেন ৩৬৫ টাকায়। কম দামে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। তবে টিসিবির তালিকায় পেয়াজ ও খেজুর দেয়ার কথা থাকলেও তা দিচ্ছেনা ডিলাররা। সরকারের এমন উদ্যোগ নিয়মিত রাখার দাবি ভোক্তাদের। জেলায় ৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে সপ্তাহে ৬দিন এ খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে ভোক্তাদের কাছে।
জেলা সদরের ডিলার সুব্রত সরকার ও সাজেদুল হক জানান, জেলা সদরের চারজন ডিলার টিসিবির পন্য বিক্রি করছেন। এসব মালামাল আনতে হচ্ছে রংপুর অফিস থেকে যা ডিলারদের জন্য ভোগান্তি। এ কারনে সদরের ডিলার হাসান আলী টিসিবি থেকে মাল ক্রয় করছেন না। ফলে ভোক্তারা মালামাল ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একজন ডিলার সপ্তাহে ৬ টন মাল ক্রয় করতে পারেন। ভোগান্তির শিকার হওয়ায় হাসান আলীর মালামালগুলো পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে প্রশাসন চাইলেই ডিলার পরিবর্তন করতে পারেন। তাহলে ওই ৬ টন মাল সাধারণ মানুষরা পাবে। আর তালিকায় ৬টি পন্য উল্লেখ্য থাকলেও তারা জানায় রংপুর থেকেই পেয়াজ ও খেজুর দিচ্ছেন না বলেই তারা ভোক্তাদের দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে রংপুর টিসিবির কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, কোন ডিলার যদি মাল কয়ে না করে থাকেন তাহলে তার মালগুলো অন্য ডিলারকে সমন্বয় করে দেয়া হচ্ছে। এতে ভোক্তারা মাল ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। আর হাসান আলী যদি মালামাল ক্রয় এবং লাইসেন্স নবায়ন করে না থাকেন তার বিষয়টি খুতিয়ে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।