নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে জিপিএ ৪ করা হবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে জিপিএ ৪ এর লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। তবে এবাবের পরীক্ষায় এটা কার্যকর করা হবে না।
ব্রিফিংয়ে দীপু মনি জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারিও দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর যে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে, সেটা থেকে এটি (জিপিএ ৪) চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, এবার সারাদেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবছর ২৯ হাজার ৬৭৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সারাদেশে মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এরমধ্যে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। ২০১৯ সালের জেএসডি পরীক্ষায় অনিয়মিত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এবার পরীক্ষায় এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য জেএসসিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া বিদেশি মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
পরীক্ষায় ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এ পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের ফাঁদে না পড়তে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।