নিউজ ডেক্সঃ দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরে শনিবার (৫ অক্টোবর) দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
কুমিল্লার ছেলে জিসানের বেড়ে ওঠা ঢাকার রামপুরায়। এলাকায় মাস্তানি করতে করতে পুরোদস্তুর চাঁদাবাজ হয়ে ওঠেন। ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে খিলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী আসিফের সঙ্গে সখ্য হয় তার। সে সময় কালা জাহাঙ্গীর গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে।
২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি সরকারের প্রকাশিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম ওঠে জিসানের। ২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুই ডিবি পুলিশকে হত্যা করে জিসান। এরপরই তাকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। ২০০৫ সালে জিসান দেশ ছাড়ার পর ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি হয়।
ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানেও উঠে আসে জিসানের নাম। গ্রেফতার দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও খালেদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল জিসানের। জানা যায়, ঠিকাদারির কাজ বাগাতে জিসানকে ব্যবহার করতেন শামীম।
ঢাকায় ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দুবাই পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়ার পর তারা জিসানকে শনাক্ত করেন। গ্রেফতারের পর জিসানের কাছে ভারত ও ডমিনিকান রিপাবলিকের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। দুবাইয়ের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে জিসানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের একটা চুক্তি রয়েছে। তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসব।
শুধু জিসান নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা অন্য সন্ত্রাসীদেরও দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।