নিউজ ডেক্সঃ ঠাকুরগাঁওয়ে জমি লোভে বৃদ্ধ বাবা ও পরিবারের লোকজনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে হাবিবুর রহমান (৫৫) এর বিরুদ্ধে। এসময় হামিদুর রহমানের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করে টাকা, স্বর্ণ ও শিক্ষার সনদপত্র লুট করে নিয়ে যায় হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের এঘটনা ঘটে। হাবিবুর রহমান ওই এলাকার একাবদ্দীন আহম্মেদের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হামিদুর রহমান আজ সকালে নিজ জমিতে মাহিন্দ্র দিয়ে হাল চাষ করতে গেলে হাবিবুর রহমান (৪২) তাতে বাধা প্রদান করেন। বাধা উপেক্ষা করে ছোট ভাই হামিদুর জমি চাষ করলে হাবিবুর তাকে বেধরক মারপিট করে। খবর পেয়ে বাবা একাবদ্দীন ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করেন হাবিবুর রহমান। পরে বাড়িতে এসে হামিদুর রহমান ঘরে ঢুকে তার আসবাপত্র ভাঙ্গচুর ও তার স্ত্রীর স্বর্ণ ও নগত পাচ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। একাবদ্দীন (৫৫) অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ছেলে হাবিবুর রহমান বাড়ির কাউকে না জানিয়ে আমার কয়েক বিঘা জমি চুক্তি দেয় ২০ লাখ টাকায়। আজ সকালে আমার ছোট ছেলে হামিদুর রহমান জমিগুলোতে হাল চাষ করতে গেলে সে বাধা দেয়। এবং হামিদুরকে মারধর করে। আমি হাবিবকে বুঝাতে গেলে সে উল্টাে আমাকেও মারধর করে। পরে বাড়িতে এসে ছোট ছেলের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও টাকা পয়সা যা ছিলো সব নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে এটার সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনার পর হাবিবুর নিজে নিজেকে আহত করে থানায় মামলা দেয়ার পায়তারা করছে। সে বেকার বলেই মাঝে মাঝে পরিবারের সবাইকে মারধর করে। এবং জোর করে জমি দখল করতে চায়। সে কাউকে মানে না বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে নারগুন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে ভাই ভাই মারামারি ঘটিনা শুনেছি। পারিবারিক ভাবে বসে সব কিছু শুনে মিমাংসা করা হবে।