নিউজ ডেস্কঃ ফেব্রুয়ারিতে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের কোনো বিকল্প নেই। তাই উপলক্ষগুলোতে ফুলের চাহিদা মেটাতে সাভারের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ করা হচ্ছে গোলাপ। বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে দিবসগুলোতে বাড়তি লাভের আশা চাষিদের। আর সরাসরি গোলাপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাগানগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
সাভারের বিরুলিয়া গ্রামের বাগানগুলোতে তরতাজা গোলাপ ফুলের নিখাঁদ সৌরভ ও নান্দনিকতা সবাইকে মুগ্ধ করছে। উপচে পড়া দর্শনার্থীদের মধ্যে মুখরিত হওয়া তরুণ-তরুণীদের মুখে ফুটে উঠেছে যেন উৎসবের আগাম আবেশ। এলাকার যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু গোলাপ আর গোলাপ। এ যেন গোলাপের রাজ্য।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে এবার বাগানগুলোতে ফুলের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও বিশ্বমাতৃভাষা দিবসেকে সামনে রখে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় ভালো লাভের আশা করছেন চাষিরা।
উন্নত মানের বীজ, বালাই দমন প্রক্রিয়া, ফুল চাষের প্রশিক্ষণ, উৎপাদিত ফুল বাজারজাতকরণের জন্য সরকারিভাবে কোল্ড ভ্যান সরবরাহসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করছে বলে জানালেন সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ।
সাভারের বিরুলিয়া ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।