নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অস্ত্রধারী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি কিশোর গ্যাং লিডারদের প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে বেশ ক’জন অভিযুক্তের পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী প্রার্থী হওয়ায় এ শঙ্কা বাড়ছে। নির্বাচনে স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরাও আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এবারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে তেমন কোনো উৎকণ্ঠা না থাকলেও সংশয় রয়ে গেছে কাউন্সিলর পদ নিয়ে। কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়ে গেছেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী এবং চাঁদাবাজদের প্রার্থী হওয়া।
কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদ বলেন, গ্যাং যেগুলো রয়েছে সেগুলো অপতৎপরতায় লিপ্ত হলে সাধারণ মানুষ নির্বাচনমুখী হবেন না।
কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেদ ইকবাল বাবু বলেন, কেউ যাতে কেন্দ্রে অপকর্ম করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও এবং নাশকতার মামলা বেশি রয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে রয়েছে সুনির্দিষ্ট হত্যা, অস্ত্র এবং কিশোর গ্যাংকে প্রশ্রয় দেয়ার মামলা। তবে নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাসীদের প্রভাব বিস্তারে শঙ্কা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অস্বীকার করছে না।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, সাদা পোশাকে আমাদের লোকজন থাকবেন, আমাদের অস্থায়ী ক্যাম্প থাকবে। যেকোনো তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা অপারেশন লঞ্চ করব। যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা সচেতন রয়েছি।
তবে পুলিশ প্রশাসনের দাবি, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী এবং কিশোর গ্যাং লিডাররা রয়েছে নজরদারিতে।
সিএমপির উপ-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, যারা অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারে কিংবা ব্যবহার করতে পারে সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে আইন প্রয়োগ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টির বেশি ওয়ার্ডে অভিযুক্তরা প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন।