রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংমেন্স ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদর উকিল (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ক্যাসিনো নিয়ে ‘অসাংবিধানিক বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হককে এ নোটিশ পাঠানো হয়। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রিযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে। সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। এ ছাড়া পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩, ৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নোটিশে বলা হয়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে তিনি লালফিতা কেটে ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন এবং তার সেই ছবি ক্লাবের চেয়ারম্যানের কক্ষেও আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘটনায় অনেককে গ্রেফতার করলেও ক্লাবের চেয়ারমান রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ এ সংসদ সদস্যকে প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৩, ৪, ১৫ ধারা অনুযায়ী দায়ী করা যায়। নোটিশে আরো বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বুধবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর উপস্থিতিতে সচিব মহিবুল হক বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনো স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকেও ক্যাসিনোর পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে। ইউনুছ আলী আকন্দ নোটিশে বলেছেন, ক্যাসিনো সংক্রান্ত তাদের সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য অসাংবিধানিক ও শাস্তিযোগ্য।