নিউজ ডেস্কঃ লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এলএসি’র বিভিন্ন জায়গায় সেনা বাড়াচ্ছে ভারত। কাশ্মীর থেকে আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ)-র ২০ কোম্পানি জওয়ান এরিমধ্যে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে। আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগে থেকে এই সেনারা কাশ্মীরে মোতায়েন ছিলো। তবে রাতারাতি সেনা সরে যাওয়ায় কাশ্মীরের পির পাঞ্জাল ক্ষেত্রের মতো কিছু জায়গা কার্যত সেনাশূন্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সেনাদের শূন্যস্থানে পাঠানো হচ্ছে সিআরপি সদস্যদের।কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা, আধাসেনা ও পুলিশকে নিয়ে একটি কোর গ্রুপ গঠন করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে আইটিবিপি-র ২০ কোম্পানি জওয়ান ইতিমধ্যে লাদাখে পৌঁছেছে। আরও কিছু সেনা পাঠানো হবে। আইটিবিপি ও সেনারা মিলে চীন ও ভারতের মধ্যে ৩৪৮৮ কিলোমিটার এলএসি-র নিরাপত্তার দায়িত্বে আইটিবিপি-র যে জওয়ানদের সেখানে পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে, গত এক বছর ধরে তাদের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আইটিবিপি ছাড়া সেনার কিছু বাহিনীকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে। ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের যে রোমিও বাহিনী পির পাঞ্জাল ও আখনুরে মোতায়েন রয়েছে, তাদের একাংশ লাদাখে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, এই দুই অঞ্চলে এখন সেনা নেই। সিআরপিকে সেখানে আনা হবে। আপাতত লাদাখেই নজর মোদী সরকারের।নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, ১০ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কয়েকটি শিখ ইউনিটকেও লাদাখে পাঠানো হচ্ছে।