জাকির হোসেন সুমন , ব্যুরো চিফ ইউরোপ : চিরচেনা জলকন্যা খ্যাত পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত ইতালীর ভেনিস নগরী । বছর জুরে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত এ নগরী এখন ভূতের শহরে পরিনত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়। পর্যটকদের পদচারণা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইতিমধ্যে ইতালী সরকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেছে। অবে ( হোম ওয়ার্ক) অনলাইনে পড়া লেখা চলবে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী । আগের মতো বাসে , ট্রেনে , মেট্রো , ট্রাম সহ রাস্তায় লোক জন দেখা মিলে না। বিশেষ করে ভেনিসের পিয়াচ্ছা আলে রোমা, পিয়াচ্ছা সান মার্কো , রিয়ালতো , মিরানো, বুরানো , লিদো সহ বিভিন্ন স্হান এখন মানুষ শূন্যই বলা চলে । যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষের পদচারণা ছিলো সেখানে এখন শুধুই শূন্যতা । করোনা ভাইরাসের কারনে ভেনিসের প্রায় ৭০ ভাগের ও বেশী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে পর্যটক না থাকার কারনে। অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন বাংলাদেশী মালিকানাধীন ফল ও সবজি র দোকান , রেস্তোরাঁ , আবাসিক হোটেল, উপহার সামগ্রীর দোকান , ও হকার রা। এ সব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকেই বেকার হয়ে পরেছেন। তাছাড়া ইতালীর সাথে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় অনেকেই টিকিট করা সত্বেও দেশে যেতে পারছে না। তবে ইতালীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দস সোবহান সিকদার জানান সকল বাংলাদেশী দের সতর্কতার সহিত চলাচল করতে । আর দেশে যাওয়ার আগেই নিজ চিকিৎসক বা হাসপাতাল হতে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট নিয়ে , ইতালীয়ান সরকার অনুমোদন কিত অনুবাদ প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজি তে অনুবাদ করে তা দূতাবাসের মাধ্যমে সত্যায়িত করে তার পর বাংলাদেশে যেতে বলা হয়েছে । তবে আতংকের কারনে অনেক মার্কেটের খাদ্য সামগ্রী কিনে বাসায় মজুদ করে রাখছেন ইতালীয়ান , বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।