নিউজ ডেস্কঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩০০৯ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৩৫ হাজার জন।
বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সারাদেশের নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪, ১৮৭ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৮ জন । নতুন পরীক্ষা করা নমুনায় ৩৩০৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৮৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩০২৯২জন।
এদিকে পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ের্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৫ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ০৮ হাজার ৬৯৮ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২০ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে, ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৩ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৮৭৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৯২ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।