নিউজ ডেস্কঃ গেল ২৪ ঘণ্টায় আরো ৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন মোট ১১০ জন। করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও দুইদিন আগে বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছিলেন ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো।
এছাড়া অন্য দেশে করোনার চিকিৎসায় যখন বারবার ভেন্টিলেটরের কথা উঠে আসছে তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেটরে যাদের নেয়া হয় তাদের মারা যাওয়ার সংখ্যাই বেশি। ওই দিন তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভেন্টিলেটরে নেয়া ৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন আটজন।
এদিকে ভাইরাসটির সংক্রমণে ইউরোপেও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে। বাড়ছে সুস্থতার হার। এজন্য অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জার্মানিও এমন নিয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। যদিও এতে ফল খারাপ হলে আগের মতোই কঠোর লকডাউনে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আক্রান্তের সংখ্যায় শুরুর দিকে থাকা দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।
তবে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে স্পেন। শিথিল করার পর আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিবেশী দেশ ভারতও লকডাউন শিথিল করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কিছুক্ষেত্রে এই শিথিলতা আরোপ করেছে দেশটি।
ভাইরাসটি ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক দফায় এই ছুটি বাড়িয়ে চলবে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও দেশের বিভিন্ন জেলা, এলাকাকে লকডডাউন করা হয়েছে। এছাড়া জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে সকল জায়গায়। এটি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছুক্ষেত্রে এ ব্যত্যয় ঘটলে জরিমানা ও শাস্তি দেয়া হচ্ছে আদেশ অমান্যকারীদের।
লকডাউনের কারণে আর্থিক সংকটের মুখে থাকা সাধারণকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রমও চালাচ্ছে সরকার। এই প্রক্রিয়াকে আরও বেশি স্বচ্ছ করতে সোমবার (২০ এপ্রিল) দেশের ৬৪টি জেলার ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৫ লাখ ছুঁইছুঁই। এছাড়া মৃত্যু প্রায় পৌনে দুই লাখ।