নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে মহামারী ঘোষণা করা হলেও এখনও কিছুটা স্বস্তিতে বাংলাদেশ। তবে নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই। সংকট মোকাবিলায় শুধু সরকার নয়, দরকার সামাজিক প্রস্তুতিও। আক্রান্ত রোগী নিউমোনিয়ায় ভোগায় সাত শতাংশের আইসিইউ দরকার হয়। এখন প্রশ্ন, স্থানীয় পর্যায়ে আইসিইউ-এর এই চাহিদা পূরণে কি প্রস্তুত দেশ?
বিশ্বজুড়ে মহামারীতে মোড় নিয়েছে করোনা। এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যাও প্রায় ৫ হাজার। বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ মার্চ) রাতে করেনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নিয়মিত ব্রিফিং এ বিষয়ে প্রস্তুতির কথা বরাবরই বলে আসছে আইইডিসিআর। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এই রোগে মৃতের হার প্রায় দুই শতাংশ, তবে আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়ায় ভুগে আইসিইউ দরকার হয় প্রায় বিশ শতাংশের। এই জনবহুল দেশে যেখানে স্বাভাবিক অবস্থাতেই আইসিইউ সংকট সেখানে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হলে সেই সংকট মিটবে কিভাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম. এ. ফয়েজ বলেন, ‘সরকারি বলেন বেসরকারি বলেন কারণ আমাদের তো জনসংখ্যা অনেক বেশি। সেই অনুযায়ী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট নেই। এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি। এই ধরণের সংক্রামক রোগীদের জন্য চার থেকে পাঁচ ভাগ ইনটেনসিভ কেয়ার লাগে।
সেক্ষেত্রে যেকোনো দেশ থেকেই আসুক না কেন দুই সপ্তাহ সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আর সংক্রমণ প্রকট হলে শুধু সরকার নয় দরকার সামাজিক প্রস্তুতিও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বলেন, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন গড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা জনগণকে বোঝানো প্রয়োজন।
তবে আতঙ্ক নয় দরকার সতর্কতা। তিন মিটার দূরত্ব মানা, পরিচ্ছন্ন থাকা আর হাঁচি কাশির শিষ্টাচার মানার তাগিদ তাদের।