নিউজ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরো চারটি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে অন্তত ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড নাইন্টিন। এদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা না পাওয়া গেলেও ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে, আবারও প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক। একই সঙ্গে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নতুন বছর শুরু না হতে না হতেই করোনা আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী। চীন দিয়ে শুরু হলেও কালো থাবা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। আক্রান্তের তালিকায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন দেশ। মহামারি না হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উচ্চ মাত্রার সতর্কতা জারি করেছেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত না হলেও প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান আইইডিসিআর। সেই সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে আক্রান্ত দেশগুলোর দূতাবাসের সাথে।
আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, রোগীগুলো নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে ওখানে ভ্রমণ করে গেছেন। ওই দেশের লোকাল ট্রান্সমিশন শুরু হয়নি। এই দিক থেকে আমাদের আশস্থ হওয়ার জায়গা। আবার আমাদের দেশে রোগী আসবে না তা ভেবে বসে থাকা যাবেনা। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক, ইটালি এসব দেশে তথ্য বিশ্লেষণ করছি এবং পর্যবেক্ষণ করছি।
প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ানো সাত ধরণের করোনা ভাইরাসের তিনটি ক্ষতিকারক। আর বাকি চারটি মূলত সাধারণ সর্দি জ্বর যার জন্য আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দেন সংস্থাটি। এই সমস্ত দেশের দূতাবাস, এবং বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করছি।
আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, করোনা ভাইরাস মূলত প্রাণীর মধ্যে থাকে। এরমধ্যে সাতটি করোনা ভাইরাস নিট্রিউশনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঢুকে। সাধারণ সর্দি জ্বর যার জন্য কোন রকম আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
আক্রান্ত রোগীর ভ্রমণের কারণে নতুন নতুন দেশের তালিকা বাড়ছে জানিয়ে সংস্থাটি আক্রান্ত দেশ থেকে জরুরি কাজে যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের নিরুৎসাহিত করেন আইইডিসিআর।