নিউজ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভারতীয় সংগীতশিল্পী কনিকা কাপুর। কিছুদিন আগেই লন্ডন থেকে ফেরেন তিনি। যদিও বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়টি তিনি নাকি গোপন করে যান বলে অভিযোগ। সদ্য জ্বর, সর্দি-কাশি এবং ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দিতেই তিনি হাসপাতালে যান৷ নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তার।
লন্ডন থেকে ফিরে লখনৌয়ের বাড়িতে ছিলেন তিনি। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তিনিই প্রথম যার করোনা ধরা পড়েছে। লন্ডন থেকে ফেরার পর তিনি বিলাশ বহুল একটি ৫ তারা হোটলে পার্টি দেন। সেখানে প্রচুর ক্ষমতাবান মানুষে এসেছিলেন। এ বিষয়টা সামনে আসতেই মানুষ কনিকার দ্বায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে তিনি পার্টি করছিলেন? তাদের তো বোঝা উচিত করোনার বিপদসীমা!
যদিও একথা মানতে নারাজ কনিকা। ফোনে কনিকা কাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আমার বাচ্চাদের সঙ্গে লন্ডনে ছিলাম। আমি লন্ডন আর লখনৌতে যাতায়াত করতেই থাকি। আমি মার্চের ৯ তারিখে এয়ারপোর্টে নামি। তখন আমাকে একটা ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। সেখানে আমার জার্নির সব ইনফরমেশন দিতে হয়। সে সময় আমাকে চেক করা হয়। আমাকে কেউ বলেনি কোয়ারেন্টাইনে যেতে। আমার শরীরে করোনার কোনও লক্ষণই ছিল না। আমি লন্ডন থেকে মুম্বাই হয়ে লখনৌতে আসি। এখানে আমার বাবা মা রয়েছেন। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করি। এখানে আমার নিজের বাড়িও রয়েছে। আমার ছোটবেলার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। সেই জন্য একটা ছোট্ট গেটটুগেদার হয়। যেখানে তার বাবা মা, আমার বাবা মা ও সামান্য কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এটা একটা ছোট্ট গেটটুগেদার ছিল । তেমন কোনও বড় পার্টি নয়। এর পর মার্চের ১৩ তারিখ আমার নিজের নিজেকে সন্দেহ হয়। যে আমার করোনা নেই তো। তখন আমি ফোন করে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আমার করোনা টেস্টের জন্য। এবং টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে আমাকে একবারের জন্যও কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলেননি। তবে আমি নিজে থেকেই সোশ্যাল জমায়েত এরাই।