নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্টেশনে দুর্ঘটনায় পড়েছে রংপুর এক্সপ্রেস। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে চারটি বগিতে আগুন ধরে যায়। উল্লাপাড়া স্টেশনে পয়েন্টিং সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাস্টার এবং সহকারী লোকো মাস্টারসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাজির হোসেন বলেন, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ইঞ্জিনসহ চারটি বগিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান বলেন, উল্লাপাড়া স্টেশনে পয়েন্টিং সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে অপর চারটি বগিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের চারটি বগিতে আগুন ধরে যায়। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে চালকের ভুলে সোমবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ মাস্টারকে দায়ী করেন। দুর্ঘটনার পরই তূর্ণার লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়।