নিউজ ডেস্ক: এবার চীনা কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই চীনা কর্মকর্তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার ওই একই অভিযোগে ২৮ চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া কোনও মার্কিন পণ্য কিনতে পারবে না। চীনের ওই ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান উইঘুর মুসলিমদের ওপর নজরদারিতে সহায়তা করেছিল।
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত মে মাসে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়ে চীনের বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এবার চীনা কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, উইঘুর জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালাচ্ছে চীনা প্রশাসন। তবে চীনের তরফ থেকে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে চীন। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এবং তাদের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও চীনের দাবি এগুলো চরমপন্থার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এক বিবৃতিতে পম্পেও অভিযোগ করেছেন যে, চীনের উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজ মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে চীনা প্রশাসন। এসব জনগোষ্ঠীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তাদের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র গেং শুয়াং সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যেসব কথা বলছে সে ধরনের কিছুই এখানে ঘটেনি।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপে এসব অভিযোগ বাহানা ছাড়া আর কিছুই নয়।