নিউজ ডেস্কঃ এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি বাংলাদেশে নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
রংপুরে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে অপর একজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
আইইডিসিআরের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই শিক্ষার্থীর আরো একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যে রোগিটি নিয়ে এতো আলোচনা চলছিল, তার দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি বাংলাদেশে নেই।
যারা চীনের উহান থেকে ফিরেছেন এবং হাজী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তাদের সিদ্ধান্ত একসঙ্গে নেয়া বলেও জানান তিনি।
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন চীন ফেরত শিক্ষার্থীর নাম তাশদীদ হোসেন। গত শনিবার থেকে রংপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন চীন ফেরত শিক্ষার্থী তাশদীদ হোসেন। তার শরীরের ঘাম, রক্ত এবং লালার নমুনা আইইডিসিআরের ল্যাব টেকনিশিয়ান পাঠানো হয়। তাশদীদ হোসেন (২৪) শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেবেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, তাশদীদের আপাতত কোনো সমস্যা নেই।
তাশদীদ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগজ্ঞের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
এদিকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি চীন ফেরত আরেক শিক্ষার্থী আলামিনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে চীন ফেরত আলামিনকে রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে চলবলা মদনপুরে। তিনি ওই গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
আইসোলেশন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক হুমায়ুন কবির জানান, চীন ফেরত ওই শিক্ষার্থী ইয়াংহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। গতকাল সকাল ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। রাত ১০টায় তিনি তার নিজ বাড়ি কালীগঞ্জে আসেন। এখানে আসার পর তার বমি এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
মরণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল (রোববার) চীনে নতুন করে আরও ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০৪ জনে। যার মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড ও বাইরে মৃত্যু হয়েছে ৯০২ জনের। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।