নিউজ ডেস্কঃ জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে।
তিনি সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ধৈর্য ধরার আহবান জানান।
সরকার পরিবহন শ্রমিকসহ বেকার শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি দলীয়ভাবে ভাসমান মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে রংপুর সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, সামনে ঈদ ও বর্ষাকাল, চলমান লকডাউনে সড়ক ফাঁকা থাকায় এখনই সড়ক মেরামত করার উপযুক্ত সময়।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের কৃষক ও কিষাণী সমাজের পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে কাজ করার জন্য কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান।
গতবারের মত এবারও কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
গত ১৪ এপ্রিল সারাদেশে শুরু হওয়া এ সর্বাত্মক লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।
এদিকে, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোববার (১৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুপারিশ করা হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে এক ভার্চুয়াল সভায় করোনা সংক্রমণের অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সারাদেশে কোভিড-১৯-এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দু’সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দু’সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। পাশাপাশি সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সভা।