বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

ইসির কাছে জনস্বাস্থ্যের চেয়ে নির্বাচনই ‘গুরুত্বপূর্ণ’

নিউজ ডেস্কঃ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও বগুড়া-৬ এবং যশোর-১ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিবের অজুহাত, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া যায়নি ইতিবাচক সাড়া। তবে দুর্যোগকালে নির্বাচনের আয়োজন করাকে অযৌক্তিক বলছেন বিশ্লেষকরা।করোনা মহামারি যখন দেশে কেবল প্রবেশ করলো, আক্রান্তের সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। তখনই ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করে তোপের মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। নানা মহলের সমালোচনায়, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ও বেশ কয়েকটি আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিল ইসি।এখন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁইছুঁই। এ মহামারির মধ্যেই আবরো বগুড়া-৬ এবং যশোর-১ আসনে ১৪ জুলাই ভোটের তারিখ ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, কেউ যদি ২ ভোট পায়, আর কেউ যদি ১ ভোট পায়, তাহলে ২ ভোট পেয়ে জিতে যাবে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এটা করতে হচ্ছে।
সংবিধান বলছে, নির্ধারিত ৯০ দিনের পর দুর্যোগকালীন আরো ৯০ দিন বাড়াতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সে সময়সীমাও পার হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতি কিংবা আদালতের হস্তক্ষেপে নির্বাচন স্থগিত করে রাখা যায়। এক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি কমিশন সচিবের।সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেখা করেছিলেন। তিনি বললেন, ঠিক আছে আপনারা একটা ফর্মাল প্রস্তাব দেন। আমরা সেটা দিয়ে দিয়েছি আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয় বলছে, সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে, ভবিষ্যতে আরো জটিলতা সৃষ্টি হবে, এই জন্য নির্বাচন করতে হবে।তবে নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, এ দুর্যোগে নির্বাচনের আয়োজন করার দায় কমিশনের উপরই বর্তায়।নির্বাচন বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন অপরিহার্য হয়ে পড়ে না। কারণ, জননিরাপত্তা এবং জনস্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা কোর্টকে জানাবে। অথবা রাষ্ট্রপতিকে জানাবে। তখন একটা নির্দেশনা আসবে। তারা যদি বলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, আমাকে না বললেও আমি এটাই চাইব। এটা তো কোনো কথা হয় না। সিদ্ধান্তে দায় নির্বাচন কমিশনের।করোনার কারণে চট্টগ্রাম সিটিসহ আটকে থাকা স্থানীয় সরকারের প্রায় ২শ’ পরিষদের নির্বাচন সহসাই আয়োজনা করা হবে না বলেও জানিয়েছেন কমিশন সচিব।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com