নিউজ ডেস্ক: ইরাকে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ৮৬৫ জন আহত হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান কারবালায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে একদিনেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে মঙ্গলবার হাসপাতাল এবং নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসিরিয়া শহরে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আহত তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ শুরুর পর সোমবার চতুর্থ দিনের মতো রাজপথে নামে ইরাকের বিক্ষোভকারীরা। বেকারত্ব, নিম্নমানের জনসেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অক্টোবরের শুরু থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ শুরু করলে বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করে। অক্টোবরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ইরাকের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় থেকে শনিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে যে, শুক্রবার নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এদিকে, গত সোমবার রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রে তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। চলতি সপ্তাহে বিক্ষোভে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের হটাতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকেই নিজেদের স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই বিক্ষোভ করেছেন। আবার কেউ কেউ সরাসরি মূল বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই দেশের সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনা। গত অক্টোবরের ১ তারিখে বিক্ষোভ শুরুর পর কমপক্ষে ২৫০ জন নিহত হয়েছে।