জাকির হোসেন সুমন , ব্যুরো চীফ ইউরোপ : ইতালীর ভেনিসে গত বছরের ২৩/২৪ নভেম্বর মিলানো কনসুলেট অফিসে র আয়োজনে কনসুলেট সেবার আয়োজন করা হয় । ভেমিসের মেসএে তে স্হানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি তে কনসুলেট সেবা চলাকালে শুরুর বেশ কয়েক ঘন্টা পর বিশৃঙ্খলার কারনে স্হানীয় প্রশাসন তা বন্ধ করে দেন। পরে মেসএের বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টে কনসুলেট সার্ভিস চালু করা হয় স্হানীয়দের সহায়তায় । সে সময় ভেনিস ও আশপাশের শহর হতে প্রায় সাড়ে ছয় ( ৬ ) শত পাসপোর্ট রিনিওর আবেদন জমা হয়। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন সনদ ও বিভিন্ন সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন পরে। সেই সময়ে যারা পাসপোর্ট নবায়ন ও সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করেন তাদের পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য গত ৫ ই জানুয়ারী মারঘেরা য় একটি বাংলাদেশী রেস্তোরাঁ র আয়োজন করা হয় কার্যক্রম । সে সময় উপস্হিত ছিলেন মিলানো কনসুলেট অফিসে র লেবার কাউন্সিলর রফিকুল করিম, ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী নাসিবুল ইসলাম । সকাল দিকে একটু হট্টগোল হলেও স্হানীয় প্রশাসন এর উপস্থিতি তে ভালো ভাবেই তা সম্পন্য করা হয়। তবে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে । ভেনিসের মারঘেরা র আজিম শিকদার ও মেসএের মোহাম্মদ শাহা আলম জানান, তাদের পাসপোর্ট রিনিউ হওয়া সত্বেও তাদের পাসপোর্ট না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয় । তাদের পাসপোর্ট নবায়ন হয়ে মিলানো কনসুলেট অফিসে এসে পৌচেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে অনলাইনে তাদের পাসপোর্ট ডেলিভারি লিস্টে তাদের নাম সহ পিন্ট কাগজ দেখানো হয়। মেসএে পৃরবাসাী আকবর হোসেন জানান তিনি ফ্যামেলী সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে অথচো তাকে দীর্ঘ প্রায় দের মাস পরে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ ভুলের জন্য কনসুলেট অফিসের উপস্থিত এক কর্মকর্তা আকবর হোসেনের কাছে দু:খ প্রকাশ করে তা সংশোধন এর ব্যবস্হা নেন। এদিকে বিতর্কের ঝর উঠেছে কনসুলেট সার্ভিসের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী দূতাবাস বা কনসুলেট অফিসের সেবা কার্যক্রম নিজেদের পরিচালনার কথা থাকলেও স্হানীয় কমিউনিটির সহায়তায় তা পরিচালিত হয়। এ যাবৎ যে কয়টি কনসুলেট সার্ভিস দেয়ে হয়েছে ভেনিস ও এর আশে পাশের শরর গুলোতে সেখানে পাসপোর্ট নির্দিষ্ট ফি এর বাইরে প্রতি ১০/২০ ইউরো করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে । কাউকে গিয়ে মিলানো কনসুলেট অফিসে পাসপোর্ট বা সার্টিফিকেট আনতে হবে না স্হানীয় কমিউনিটি নেতা বা ক্ষমতাসীন ( আওয়ামীলীগ ) দলের নেতারাই পাসপোর্ট নিয়ে আসবে এবং তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট নেবার জন্য নির্দিষ্ট কারো মোবাইল নান্বার দিয়ে দেয়া হয়। এভাবে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ইতিপূর্বে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পূর্বে যাই ঘটুকনা কেনো এস অর্থ ভাগাবাগি ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের হয়রানি বন্ধে ভেনিসে কিছু রাজনৈতিক নেতা, কমিউনিটি নেতা ও আঞ্চলিক সংগঠন এক হয়ে গতবছরের ২৩/২৪ শে নভেম্বর কনসুলেট সার্ভিসে সহায়তায় কাজ করে। সেখানে কারো কাছহতে নির্দিষ্ট ফি এর বাইতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে দেখা যায়নি। তবে গত ৫ ই জানুয়ারী মিলানো কনসুলেট সেবায় পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেট প্রদানে ভেনিস আওয়ামীলীগ , যুবলীগ ও ছাএলীগ এর মাধ্যমে এ সার্ভিস চলছে যে বক্তব্য ভেনিস আওয়ামীলীগ সভাপতি ইদ্রিস হাওলাদার দিয়েছেন তা কতটুকু বাস্তব। তা স্হানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ইতালী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সোবহান সিকদার এর কাছে জানতে চেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবার নামে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ভেনিসের মারঘেরায় কনসুলেট সার্ভিস চলাকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ ভেনিস শাখার সভাপতি ইদ্রিস হাওলাদার , আওয়ামীলীগ নেতা শাহা আলম , মোশারফ হোসেন , বিল্লাল হোসেন ঢালী , রফিক ছৈয়াল , তাহের খান , সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিসের সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার , হোসেন বিল্লাল , মোস্তাক আহম্মদ , যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা ছৈয়াল কালু , ছাএলীগ সভাপতি আরিফ হাওলাদার ও সাধারন সম্পাদক রোমান ইসলাম প্রমূখ ।