জাকির হোসেন সুমন ,ব্যুরো চিফ ইউরোপ : ইতালীতে ক্রমাগত বেরেই চলেছে করনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাথে যোগ হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ও । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জন। এদিকে ইতালীর সাথে কয়েক দেশের আকাশ পথ ও স্থল পথের যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে আক্রান্ত এলাকায় এয়ারপোর্টে সতর্ক অবস্হা জারি করা হয়েছে ইতালীর কয়েকটা শহরের সাথে গন পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ইতালীর মিলানোর লম্বারদিয়া , ভেনেতো, পাদোভা , সহ বেশ কিছু শহরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ট্রেন স্টেশন সহ রাস্তা ঘারে তেমন লোকজন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না আগের মতো। কিছু কিছু মার্কেটে উপচে পরা ভির লক্ষ করা গেছে। ইতালীয়ান সহ বিভিন্ন দেশের লোকজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না। অনেকেই মার্কেট থেকে কিনে রাখছেন ১ থেকে ২ মাসের শুকনো খাবার। গত কয়েকদিন যাবৎ ফার্মেসী তে মাক্স সংকর দেখা দিয়েছে । মাক্স শেষ হয়ে যাওয়ায় আরো বেশী আতঙ্কে আছেন যাদের জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর হতে বের হতে হয়। তবে বাংলাদেশী কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , ব্যাংক, ও অফিস গুলোতে প্রবেশের ক্ষএে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে । সকলের মাঝে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কাজের স্হানে, রাস্তায়, বাস বা ট্রেনে কেউ হাচি, কাশি দিলেই অনেকে পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। প্রশাসনিক বিভাগ ভেনেতো র সভাপতি লুকা জিয়া জানান, ইতালিতে প্রতি ঘন্টায় বাড়তেছে ‘করোনা’ ভাইরাস । অন্যদিকে আজ ইতালির ট্যুরিস্ট শহরের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, পাবলিক প্লেস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । শহরের বাসিন্দাদেরকে গৃহ থাকতে বলেছেন তিনি। ভেনিস সহ বিভিন্ন শহরে করনা ভাইরাস যাতে আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য রাস্তা, বাসা র বাইরো ও দোকান অফিসের সামনে তরল ঔষধ ছিটাতে দিখা গিয়েছে। অন্য দিকে কোন ক্রেতা না পেয়ে চাইনিজ দোকান ও রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা৷ প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দিয়ে বাসায় অবস্হান করছেন।