নিউজ ডেস্কঃ ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বিমান এজেন্সি মালিকরা। লকডাউন চলাকালিক সময়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষে এজেন্সি ও ওয়েব সাইটে কক্সবাজার ছাড়া প্রতিটি রুটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একাধিক ফ্লাইটে টিকিট কর্তনে সুবিধা দেয়। কিন্তু টিকিট কর্তনের পর যাত্রীরা নিজেই ওয়েব সাইটে থেকে অথবা সংশ্লিস্ট এজেন্সি থেকে টিকিট কর্তন করেন। পরবর্তীতে লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ কিছু ফ্লাইটের যাত্রী বাতিল করলেও টিকিটের কর্তনকৃত টাকা ফেরত না পেয়ে যাত্রী ও এজেন্সী মালিকরা বিপাকে পরেন। এ নিয়ে এজেন্সী মালিকরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে প্রতি টিকিটে অর্ধেকের বেশি টাকা কর্তন করে বাকি টাকা ফেরত দেয়। অন্যদিকে অনেক যাত্রী নিজেই ওয়েব সাইট থেকে টিকিট কর্তন করে। পরে ফ্লাইট বাতিল হলেও কর্তৃপক্ষ তা না জানালে সময়মত কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীরা। টিকিট কর্তনের টাকা ফেরতে পরে বিপাকে।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামে এজেন্সি থেকে ৪জন যাত্রী ইউএস বাংলা এয়ারের টিকিট কাটেন। পরবর্তী লকডাউনের কারণে ওই বিমানটির যাত্রা বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। এতে এজেন্সি মালিক পরেন বিপাকে তাৎক্ষণিক ভাবে যাত্রীর সম্পুর্ন টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। পরবর্তিতে এজেন্সির মালিক সম্পুর্ন টাকা ফেরত চেয়ে মেইল পাঠান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এজেন্সির কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৭৫০ টাকা করে ৭ হাজার টাকা কেটে নেয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তারা বাকি টাকা ফেরত দেয়নি।
এ বিষয়ে ইউএস বাংলার সৈয়দপুর সিটি অফিসের এক্সকিউটিভ এমএসডি তাকবীর আল জোহা জানায়, এজেন্সির তার পোর্টালে রিফান্ড করতে ভুল করছেন। তাই টাকা কর্তন হয়েছে। তারপরও ঢাকা অফিসে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয় তারা টাকা ফেরত দেননি। আমার এখানে করণীয় কিছুই নেই।
ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামে এজেন্সির মালিক জিয়াউর রহমান জানান, নভো বা অন্যান্য বিমান কর্তৃপক্ষ এধরনে টাকা কর্তনের নজির না থাকলেও কৌশলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ টাকা কর্তন করছেন। যা কাম্য নয়। এতে যাত্রী সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এজন্সি মালিকরা ক্ষুদ্ধ। অবিলম্বে কর্তনকতৃ টাকা ফেরতের দাবি করেন তিনি।