নিউজ ডেস্ক: ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ ক্ষমতাধর জেনারেল সোলেইমানি হত্যার ঘটনায় সব পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্ববাসীর পক্ষে পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধের ধকল সামলানো সম্ভব নয়। তবে তিনি সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাননি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় ইরাকের ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী হাশেদ আশ-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ আটজন জন নিহত হন।
ইরাক সরকারের অনুমতি ছাড়া দেশটির মাটিতে চালানো ওই হামলার নিন্দা জানানো থেকে বিরত থাকেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এদিকে ইরান ঘোষণা করেছে, তারা কুদস বাহিনীর কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেবে।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, এটি এমন একটি মুহূর্ত যখন নেতাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে। বিশ্ববাসীর পক্ষে পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধ সহ্য করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে তার একজন মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়েছে।
প্রতিশোধের হুংকার ছেড়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন সোলেইমানি। যে অপরাধীরা তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’
আইআরজিসির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমজান শরিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র তোমরা কড়া জবাবের জন্য অপেক্ষা করো।’ সোলেইমানির রক্তের বদলা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ।