নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস হলো মিরপুরের ক্রিকেট ক্যানভাস। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক এখন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারে যে ৭ বার তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন মুশি। তার তিনটিকে পরিণত দিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম যে ডাবল সেঞ্চুরি দেখেছিলো ক্রিকেট বিশ্ব। তার রূপকারও ছিলেন মুশফিক। ১৫ মাসের ব্যবধানে আবারও মিরপুরে দ্বিতীয় ডাবল হাঁকালেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
অথচ, পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তার কারণে যাবেন না বলে গুঞ্জন উঠেছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে রাখা হবে না মুশফিকুর রহিমকে। এমন উড়া কথায় তেঁতে ছিলেন বগুড়ার এই ব্যাটসম্যান। তাই বিসিএলে খেলেছিলেন ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার উইলো দিয়েছিলো নিন্দুদের জবাব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রিয় ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস দারুণভাবে টেনেনিলেন। লান্স বিরতির আগে সেঞ্চুরি উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, টেস্ট ক্রিকেটের মহাত্মা যে এখানেই। লান্স বিরতিরে ৪০ মিনিট পর এসেই ১৬০ বলে সেঞ্চুরি মুশফিকের। উদযাপেই ছিলো তার চাপা ক্ষোভ।
অধিনায়ক সাথে বাংলাদেশের লিড বড় করার স্বপ্নের গাঁথুনি দিয়ে যান মুশি। মুমিনুল নবম সেঞ্চুরি করে ফিরলেও বীরদপে ব্যাট করে গেছেন। ২৫৪ বলে ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ১৫০ রানে ইনিংস স্পর্শ করেন রহিম। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে একবার ১৫০ রান করে আটকে গিয়েছিলেন মুশফিক। এবার আর তাকে আটকানো গেলো না। ক্রিকেট বইয়ের পাতায় নতুন আরো অনেক গল্প যোগ করেন।
তামিম ইকবালকে ছাপিয়ে টেস্টে সর্বাধিক রান সংগ্রহ বনে যান মুশফিক। আসে স্বপ্নিল সেই ক্ষণ। ৩১৭ বল আর ৪৩৮ মিনিট উইকেটে আগলে থেকে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। বিমোহিত মিরপুরের গ্যালারী আর লাল সবুজের সমর্থকেরা উল্লাসে মাতে মুশফিকের এমন দৃষ্টি নন্দন অনবদ্য ইনিংসে।