নিউজ ডেক্সঃ আগামী ২৩ নভেম্বর হরিপুর উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও আ’লীগের দ্রুগ্রুপের দ্বন্দ্বের কারনে তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদ হলরুমে দলীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম এমপি।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে হরিপুর উপজেলা আ’লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। আর এসব উপেক্ষা করে এক পক্ষ বর্ধিত সভাও করে। যেখানে স্থান পায়না আরেক পক্ষ। আবার আরেক পক্ষ কার্যক্রম চালাতে গেলে তা ঠেকানোর মরিয়া হয়ে উঠে। এ অবস্থায় উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হরিপুর উপজেলায় রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। যা এখনো চলমান। এপরিস্থিতির মধ্যে ডাকা হয় উপজেলা সম্মেলনের। যা নির্ধারিত ছিল আগামী ২৩ নভেম্বর। আর সম্মেলন যেন সুষ্ঠ হয় সেকারনে হরিপুর উপজেলা আ’লীগের বিভক্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে আজ জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনায় বসেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম এমপি, সাধারন সম্পাদক সাদেক কুরাইশীসহ জেলার শীর্ষ নেতারা। আলোচনায় বিভক্ত নেতাকর্মীদের বিষয়টি সমাধান না হওয়া এবং উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্ধিত সভা শেষ না হওয়ার কারনে আগামী ২৩ নভেম্বর সম্মেলনটি স্থগিত করা হলো বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দেন জেলা আ’লীগের সভাপতি। তবে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তা স্থগিতের পক্ষে নয়। আগামী ২৩ নভেম্বর হরিপুর উপজেলায় সম্মেলন হচ্ছে না আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনার একটি ভিডিও ইতো মধ্যে ফেইসবুকে ভাইরাল।
এ বিষয়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম এমপি জানান, যেহেতু হরিপুর উপজেলায় ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা আ’লীগের বর্ধিতসভা সম্পুর্ন হয়নি। তাই আগামী ২৩ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে না। তাছাড়া নিজেদের মধ্যে দুটি পক্ষে কোন্দলের সৃস্টি হয়েছে তা নিরসনের চেস্টা চলছে। আমরা চেস্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে হরিপুর উপজেলায় আ’লীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চললেও হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভা আয়োজন করে একটি পক্ষ। উক্ত সভাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের লোকজন উপজেলার বিভিন্নস্থানে মারমুখি অবস্থান নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩দিনের জন্য বকুয়া ইউনিয়নের চাপদা বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু তারপরেও দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয় বলে আশঙ্কা করে প্রশাসন। পরবর্তীতে প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হরিপুর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। যা এখনো চলমান তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সকল ধরনের সভা সমাবেশ ছাড়া বাকি সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হরিপুর উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে অনুমোদন ছাড়াই নতুন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করায় পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।