নিউজ ডেস্কঃ শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৪তম আসর। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) উদ্বোধনী ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়েও কোহলি-রোহিতের লড়াই দেখতে মুখিয়ে পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
ক্রিকেট নামক খেলাটিকে অনেক বেশি বাণিজ্যিকীকরণের দায়ে দুষতে পারেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আপনি একে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। কারণ, পুরো ক্রিকেট বিশ্বে টুর্নামেন্টটির প্রভাব অপরিসীম। বলা হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলের কথা।
করোনা মহামারির মধ্যে আবারো শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উত্তাপ। চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে উঠবে ১৪তম এ আসরের পর্দা। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে আসরের সবচেয়ে সফল দল রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর তাদের প্রতিপক্ষ বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
আইপিএলের ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বছর তো দূরে থাক, ৬ মাসও হয়নি তারা ঘরে তুলেছে তাদের পঞ্চম শিরোপা। এবার তাদের মিশন হেক্সায়, সবচেয়ে বড় তুরুপের তাস অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাই রোহিত শো দেখার অপেক্ষায় সবাই। তার সঙ্গে এ দলের আরেক হট পিক হার্দিক পাণ্ডিয়া। ব্যাটে-বলে তার মুনশিয়ানা ভোগাবে প্রতিপক্ষকে। এই অভিজ্ঞদের সঙ্গে ইশান কিশানের মতো তরুণদেরও সার্ভিস পাবে মুম্বাইয়ানরা। আর ক্রুনাল পান্ডিয়া, জাস্প্রিত বুমরাহ, সুরিয়াকুমার যাদবরা তো রয়েছেন বরাবরের মতোই।
বিদেশি কোটায় মাহেলা জয়াবর্ধনের জন্য ভরসার প্রতীক হতে পারেন বিগ ব্যাশ কাঁপানো ক্রিস লিন। আছেন আরো একজন অজি। তবে, তিনি সামলাবেন পেস বোলিং অ্যাটাক, নাথান কোল্টারনাইল। গতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভোগাতে আছেন ট্রেন্ট বোল্টও। আর অলরাউন্ডার কোটায় সবসময়ের মতোই মুম্বাইয়ের ভরসার নাম কাইরন পোলার্ড।
মুম্বাইয়ের প্রতিপক্ষের ঘরে যে দলটার নাম আছে, আইপিএলের প্রথম মৌসুম থেকেই তারকাখচিত দল হিসেবে পরিচিতি তাদের। কিন্তু ফলাফলের শোকেসটা এখনো শূন্য বিরাট কোহলির দলের। যদিও প্রতি বছরের মতো এবারও নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা মাইক হেসন বাহিনীর।
এ দলের টপ পিক নিয়ে কথা বলার খুব বেশি কিছু নেই। এখানে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং এবিডি ভিলিয়ার্স। দু’জনের সক্ষমতা এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, এমন লোক ক্রিকেট বিশ্বে আছে বলেও মনে হয় না।
অলরাউন্ডার কোটায় এ দলের মূল ভরসা গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলে বরাবরের মতোই বড় অর্থের অঙ্কে ম্যাক্সিকে দলে ভিড়িয়েছে আরসিবি। যদিও তার পারফরম্যান্স নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। হেসনের আশা, অন্তত এবার হয়তো জ্বলে উঠবেন এ অজি।
বোলিংয়ে এবারও কিছুটা দুর্বলতা রয়ে গেছে ব্যাঙ্গালুরুর। আন্তর্জাতিক সার্কিটে ভালো ছন্দে না থাকলেও, আইপিএলে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেয়ার দায়িত্ব থাকবে যুভেন্দ্র চাহালের হাতে।
দলের সুদিন ফেরাতে এবার ওপেনারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে কোহলিকে। তার সঙ্গী হবেন পাড্ডিকাল। পরের জায়গা দুটি এবি এবং ম্যাক্সিকে দিলে বাকি থাকা স্থান পূরণ করবেন ভারতীয়রা। তাদের পেস অ্যাটাকের নেতৃত্ব থাকবে সিরাজের হাতে। আর সেখানে তাকে সাহায্য করতে থাকবেন জেমিসন কিংবা রিচার্ডসন। আর চাহালের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
পরিসংখ্যানের পুরনো দস্তাবেজ ঘাঁটতে গেলে, এ ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট মুম্বাই। ১৩ আসরে দেখা হওয়া ২৭ ম্যাচের ১৭টিতেই জিতেছে তারা। বাকি দশটি গেছে চ্যালেঞ্জার্সের দখলে।
তবে, ইতিহাস কিংবা পরিসংখ্যান নয়। কোহলি-রোহিতের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া।