নিউজ ডেস্কঃ স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে এক কিশোরীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জনতার হাতে ধরা খেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জিল্লুর রহমান সুমন নামে এক চিকিৎসক। ধরা খাওয়ার পর তাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইলার হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
স্থানীয়রা জানায়, স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বেগুনগাঁও এলাকার এক কিশোরির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন সুমন । এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ ভাড়া বাড়িতে এক সাথে থাকতেন । গতকাল রাতে জিল্লুর রহমান সুমন মেয়েটিকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে পৌছে দিতে গেলে মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আটকের পর সুমন মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্কে কথা স্বীকার করেন। সেই সাথে তাকে বিয়ে করতেও রাজি হন। আর সেই ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পরে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তাদের বিয়ের কার্যক্রম চলছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে চিকিৎসক সুমন একজন নারী লোভী এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছেন তারা। চিকিৎসক জিল্লুর রহমান সুমনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায়। সে বিবাহিত তারপরও এমন অপকর্ম লজ্জাজনক। সে বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার জানান, চিকিৎসককে মেয়েসহ আটকের কথা বলা হচ্ছে তা শুনেছি। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।