নিউজ ডেক্সঃ চীন, হংকং, কোরিয়াসহ ৫ দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো বা জুয়া খেলা। ওয়েবসাইট বন্ধ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব গেমস। সাইবার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন গেমসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, সাথে সাধারণ মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও নিয়ে যাচ্ছে তারা।
ক্যাসিনো-জুয়ার আসরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেও দেশে চলছে অনলাইনে ক্যাসিনো গেমস বা জুয়া খেলা। যার আরেক নাম বেটিং।
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ১৭৬টি জুয়ার সাইটের গেটওয়ে বন্ধ করে দিলেও অবৈধভাবে অন্য গেটওয়ে ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে সেগুলো।
চীন, হংকং, কোরিয়া, ফিলিপাইন্স ও ইউক্রেন থেকে নিবন্ধিত বেটিং সাইটগুলোতেই মূলত বাংলাদেশিদের পদচারণ। এ সাইটগুলোতে ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি ম্যাচ চলাকালে লাইভ বাজি ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব ম্যাচ কোনো চ্যানেলে সম্প্রচার হয় না সেই ক্লাবের খেলা নিয়েও হয় বাজি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথমে এসব সাইটে জুয়াড়িদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হয়। জুয়ায় অংশ নিতে অর্থ পরিশোধ করতে হয় ক্রেডিট কার্ডে। দেশে এসব জুয়ার সাইট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এজেন্ট। টাকার বিনিময়ে তারা ডলার কিনে নেয় জুয়াড়িদের কাছ থেকে।
সাইবার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অনলাইনে গেমসের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে জুয়ার টাকা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, এটা একটা
সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল যে সংস্থাগুলো আছে তাদের
সাহায্যে খুব স্বল্পমূল্যে তারা চিপসগুলো সরবরাহ করছে। তরুণরা কিন্তু এই
গেমটার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। এর মূল ডেভেলপার হচ্ছে চীন, হংকং, কোরিয়া,
ফিলিপিন্স এবং ইউক্রেনের মতো কিছু দেশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে অনলাইনে ক্যাসিনো বন্ধের কাজ করা হচ্ছে।
র্যাবের (আইন ও গণমাধ্যম) পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, আমাদের সাথে প্রত্যেকেরই সমন্বয় আছে। আমরা সমন্বিতভাবেই কাজ করছি।
ভবিষ্যতে এসব গেমসের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সদস্য।