• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

জিয়া-এরশাদ-খালেদা- কেউ এ মাটির সন্তান না: প্রধানমন্ত্রী

সাংবাদিকের নাম / ১০৬ জন দেখেছেন
আপডেট : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে, এরশাদের (এইচ এম এরশাদ) জন্ম কুচবিহারে, খালেদা জিয়ার জন্ম শিলিগুড়ি এবং তারা কেউই এ মাটির সন্তান না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় এসেছেন তাদের কেবল তিনি এবং তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানই এ মাটির সন্তান ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাটির সন্তান এখন পর্যন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে, একমাত্র আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান। যেহেতু আমাদের মাটির টান আছে, এইজন্য আমাদের একটা কর্তব্যবোধ আছে।

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের গণসংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশের প্রত্যেক উপজেলা থেকে ১ হাজার লোক বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে মঙ্গলবার বিকেলে রোমে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগ দেন সরকারপ্রধান।

এ সময়, প্রবাসীদের কাছে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে যারা দেশ শাসন করেছেন, তাদের কারোরই দেশ নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। এসময় জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তারপর খালেদা জিয়া আসলো। তারপর তারা কিন্তু দেশের উন্নয়নের পথে পা বাড়ায়নি। প্রথমবার সরকারে এসে কয়েকটি দেশে মিশন করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার আসার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে বিশ্বের যেখানে যেখানে আমাদের মিশন আছে সেখানে নিজস্ব জমি হবে আর নিজস্ব ভবন তৈরি করা হবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতা আসার পর প্রায় ১০টি মিশন বন্ধ করে দিয়েছিল। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ১৯টি মিশন খুলে দেয়া হয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশে বাঙালি বেশি রয়েছেন সেখানে কনস্যুলেট অফিস খোলা হয়েছে।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনায় এগিয়ে নিচ্ছে। দারিদ্র্যের হার কমাতে তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়নের কাজ চলছে। বলেন, হতদরিদ্র ১০ ভাগ কমানো হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে দরিদ্রের হার কমাতে সক্ষম হবো।

প্রত্যেক উপজেলা থেকে আরও ১ হাজার করে লোক প্রবাসে পাঠাতে সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

ডিজিটাল পাসপোর্টের পর এখন ই-পাসপোর্ট চালুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ই-পাসপোর্টের যুগ, আমরা ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যাতে কেউ আর ধোঁকায় না পড়ে। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন, ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন হোসনে আরা বেগম।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার।

রোমে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


এধরনের আরও সংবাদ